Admin
Oct 10, 2022-6:07 AM
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে চীন ও ভিয়েতনামের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ৫৪ শতাংশ এবং জানুয়ারি-জুনে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বিশ্বে চলমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বেশি পোশাক নিচ্ছে ক্রেতা দেশগুলো।
করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে এখন আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ব্যাহত বিশ্বের ব্যবসা-বানিজ্য। কিন্তু এই অবস্থায়ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করছে তৈরি পোশাক খাত। নানা প্রতিকূলতার পরও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে বড় প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলেছে দেশ।
মার্কিন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের তথ্যমতে, জানুয়ারি-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। একই সময়ে চীনের ৪০ এবং ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের ইউরোস্ট্যাট বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ, চীনের প্রায় ২১ এবং তুরস্কের পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ২০.৩৮ শতাংশ।
বিশ্বের অন্যতম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীনে করোনার প্রকোপ, নানা সংকটে বিশ্বব্যাপী আমদানি-রপ্তানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখন বাংলাদেশের দিকে ক্রেতারা ঝুঁকছেন বলছেন পোশাক রপ্তানিকাররা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, নতুন অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তৈরি পোশাক খাত রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।